দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সমাধানের জন্য আতর কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং আমাদের জীবনের
সাথে সুগন্ধি কিভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, তা জানতে হলে এটি পড়ুন-
প্রাচীনকাল থেকে সৌভাগ্যের জন্য আতর অথবা সুগন্ধি ব্যবহার প্রচলিত আছে, ঈশ্বরের উপাসনায়
আমরা আতরের ব্যবহার করে থাকি, তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আতর এবং
সুগন্ধি ব্যবহার করি. হিন্দুরা দেবদেবীকে নিবেদনের জন্য ব্যবহার করেন আতর. মুসলমানেরা এটি দরগায়
ছিটিয়ে দেয়. আবার কেউ কেউ সুগন্ধির জন্য কাপড় ব্যবহার করেন. এখন দেখা যাক কিভাবে এটিকে সুন্দর
করে ব্যবহার করে ,আমরা ভাগ্যকে আকৃষ্ট করতে পারি. দেবদেবীকে খুশি করলে জীবনের সাফল্য আসে ,তাই
আমরা দেখব যে ,প্রাকৃতিক সুগন্ধি প্রাচীনকাল থেকে কিভাবে আমাদের জীবনে ব্যবহার হয়ে থাকে-
প্রকৃতি আমাদের অজস্র ফুল উপহার দিয়েছে, সেই ফুলের নির্যাস থেকে বিভিন্ন দেশে সুগন্ধি তৈরি হয়ে
থাকে. এছাড়াও আমাদের কিছু বিরল প্রজাতির প্রাণী এই সুগন্ধি দিয়ে থাকে যেমন সমুদ্রের মাঝে এক বিরল
সুগন্ধির নাম আমরা শুনে থাকি, “অ্যাম্বার গ্রিস”, যা কিনা শুক্রাণু তিমি দ্বারা উৎপাদিত হয়, এবং শতাব্দী ধরে
ব্যবহার করা হয়ে আসছে
অ্যাম্বার গ্রিসকে সুগন্ধি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত করা হয়েছে, এটি তিমি মাছ থেকে নিঃসৃত হয়ে
সাগরে ভাসতে থাকে, এটিকে “ফ্লোটিং গোল্ড” অর্থাৎ “ভাসমান সোনা” বলা হয়. মৎস্যজীবীরা কোটি কোটি
টাকায় এটিকে বিক্রি করে দেয়. সুগন্ধি তৈরি করার মানুষদের কাছে এটি মূল্যবান পণ্য হিসেবে গৃহীত হয়
প্রাচীনকাল থেকে অ্যাম্বার গ্রিস সুগন্ধি এবং বিলাসবহুল পারফিউম এর পাশাপাশি কিছু ঐতিহ্যবাহী
প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়েছে
সাম্প্রতিক পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী ,আন্তর্জাতিক বাজারে, 1kg প্যাম্বান ব্রিজ এর মূল্য এক কোটি টাকা.
এই রাসায়নিক টি সুগন্ধি শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত, তাই এই বিরল রসায়ন টি সংগ্রহের জন্য, পাচারকারীরা
শুক্রাণু তিমিকে, লক্ষ্যবস্তু করে রেখেছে. তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সুগন্ধি ব্যবহারের প্রচলন কতটা
বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন দেশে হয়ে আসছে.
এবারে আমরা বলব ,আর একটি প্রাণীর কাছ থেকে আমরা সুগন্ধি পেয়ে থাকি ,এটি হলো কস্তুরী
সুগন্ধি. এটি হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায়. এটিও আন্তর্জাতিক বাজারে একটি মূল্যবান পণ্য. মানুষ কস্তুরী
নামক সুগন্ধি কে কাপড়ের মধ্যে অথবা আলমারিতে রেখে দেয়. এটি পায়ের কাছে রাখলে ,এর গন্ধ এতটাই
শক্তিশালী যে ,মাথা পর্যন্ত পৌঁছে যায়.
হরিণের নাভি থেকে এই কস্তুরী সংগ্রহ করে বিবিধ সুগন্ধি তৈরিতে কাজে লাগানো হয় এবং বিবিধ তন্ত্র
মতে প্রতিকারের জন্য কাজে লাগানো হয়. হিন্দু দেব-দেবীদের উপাসনা কালে এটি বিশেষভাবে প্রচলন হয়


লোককাহিনী হিসেবে কথিত আছে, একটি কস্তুরী হরিণ, তার সুগন্ধি নাভি সম্পর্কে অজ্ঞাত, এবং
বোনের মধ্যে হরিণ তার সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় চারিদিকে, এবং সে নিজেই জানে না তার পেট বা মাথা থেকে
কিভাবে সুগন্ধি ছড়িয়ে যাচ্ছে
পুরুষ হরিণের একটি সুগন্ধি শুটি থাকে, যা প্রায় দু বছর বয়সেই সক্রিয় হয়ে ওঠে. এই থলি কস্তুরী নামে
পরিচিত. এই পদার্থ নিঃসৃত করে হরিণটি তার অঞ্চল চিহ্নিত করে এবং মহিলা হরিণকে আকৃষ্ট করতে ব্যবহার
করে. প্রতিটি কস্তুরী শুটির ওজন প্রায় 15 গ্রাম. এই ক্ষুদ্র শুটি চোরাশিকারি রা হরিণ কে হত্যা করে নিয়ে যায়
ফরাসিরা বিবিধ মূল্যবান সুগন্ধীতে এবং ঔষধ এ ব্যবহার করে থাকে. ভারতসহ এশিয়ার অনেক দেশ
সুগন্ধি তৈরিতে কস্তুরী ব্যবহার করে থাকে
বিশেষ বিশেষ পূজায় কস্তুরী ব্যবহার বিধি সম্মত ভাবে হয়. প্রাচীনকালে রাজা মহারাজারা কস্তুরী
তিলক ব্যবহার করতেন, সকল ব্যাক্তিকে আকর্ষণ করার জন্য. বর্তমানে কস্তুরী সুগন্ধি কে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে
প্রয়োগ করা হয়. এই দুর্লভ বস্তু পাওয়ার জন্য যেকোনো অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হতে হবে
প্রাচীনকাল থেকে সুগন্ধিযুক্ত ও ভেষজ দ্বারা মানুষের বিভিন্ন মানসিক চিকিৎসা করা হতো. প্রাচীনকালে
গন্ধ রসের ব্যবহার প্রচলিত ছিল , মূল গন্ধরস আরব এবং আফ্রিকার একটি গাছের থেকে পাওয়া যায়, গন্ধ রস
এর মূল উপাদান হলো- রজক ,আঠা এবং এক ধরনের তৈলাক্ত নির্যাস ,যার গন্ধ, গন্ধ রসের সুগন্ধির উৎস.
আয়ুর্বেদিক ঔষধ গন্ধ রসের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে. কিছু প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ অর্থাৎ টুথপেস্টে
গন্ধরস তেল থাকে, যা খাদ্যে এবং ঔষধ প্রসাধনে অনুমোদিত হয়
আমরা যে আতরের কথা বলব, সেটা হল চন্দন আতর. যা মানুষের শরীরে সুগন্ধ বা শীতল প্রভাব এর
জন্য প্রভাবিত. চন্দন গাছ কে বৈদিক গ্রন্থে অত্যন্ত সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে. এবং হৃৎপিণ্ডকে পবিত্র বলে মনে
করা হয়. চন্দন তার সুগন্ধ দিয়ে পুরো স্বর্গ কে গন্ধে ভরিয়ে দেয়. চন্দন কাঠ কে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক হিসেবে
বিবেচিত করা হয় এবং এটিকে কাটা হয়, যে কুড়াল দিয়ে ,সেটি পর্যন্ত সুগন্ধ প্রদান করে. এই কারণে যাহা কিছু
চমৎকার ,তাকে চন্দন বলা হয়. এটি পবিত্র অনুষ্ঠান বা পবিত্র স্থান শুদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয়
চন্দন আতর মানুষের শরীরে সুগন্ধ এবং শীতল প্রভাবের জন্য সুপরিচিত. চন্দন তেল তুলোতে লাগিয়ে
গন্ধ হিসেবে নিবেদন করে দেবতার পূজায় ব্যবহার করা হয়
বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য এটি শরীর এবং মনে একটি শীতল প্রভাব ফেলে, এবং এটি জ্বর এবং
পোড়া উপশম করতে সাহায্য করে. এবং অতিরিক্ত ঘাম বন্ধ করে. সাধারণত এটি উপশম করে এবং সূর্যের
অতিরিক্ত প্রকাশের পরে ,শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে. চন্দন একটি জীবানুনাশক এবং কফের
ঔষধ উপশমকারী হিসেবে কাজ করে. চন্দন স্নায়ুতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে. এই চন্দন আতর
এর উপকারিতা আমরা বিভিন্নভাবে প্রাচীনকাল থেকে পেয়ে আসছি. তাই চন্দন কাঠ ডাকাতি করে মানুষ
পাচার করে ফেলে


এবারে আমরা জানবো প্রতিটি মানুষের জীবনে
আতরের ব্যবহার সমস্যা সমাধানের জন্য কিভাবে
হয়ে থাকে ?

যদিও প্রতিটি মানুষের জীবনে উত্থান-পতন থাকে ,কখনো কখনো অসুবিধা,সংগ্রাম অন্তহীন এবং
অতিক্রম করা কঠিন বলে মনে হতে পারে. একটি সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই আরেকটি সমস্যার উদ্রেক
হয় ,যখন দেখা যায় সমস্যাগুলি এর কোনো শেষ নেই অথচ তার পিছন কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না. এখন
এর পিছনে একটি আসল কারণ হল, একটি দুর্বল গ্রহ যা কিনা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে চলেছে আপনাকে,
তাই এর প্রতিকার খুঁজে গ্রহের অধিপতির পূজা শুরু করতে হবে. এবং তার সুগন্ধি আতর দ্বারা কিভাবে সম্ভব
তা জেনে নিন-                                         

  1. জন্ম কুণ্ডলীতে গ্রহ দোষের কারণে অনেকে ঋণের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে একটি
    গোলাপের মালা তৈরি করুন এবং তাতে গোলাপ ,আতর এবং  কেওড়া আতর মিশিয়ে মঙ্গলবার করে
    হনুমানজির গলায় পরিয়ে দিন. যদি ন মাস এই কাজটি টানা করতে পারেন, তাতে ঋণের সমস্যা থেকে
    চিরকালের মতো মুক্তি পাবেন.       
                                 
  2. যদি কোন ব্যক্তি অশুভ চন্দ্রের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তাহলে সোমবার আতর দ্বারা শিবের
    অভিষেক করতে হবে, এর ফলে চন্দ্রের অশুভ প্রভাব কমে যাবে.           
  3. অনেক মানুষ প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সত্বেও অর্থের অভাবে কোন কাজ করতে পারেন না. সমাজে
    অকারণে সম্মানহানি ,অনর্থক অর্থহানি ,ব্যবসায় বিপুল পরিমান ক্ষতি ,শুক্রের অশুভ কারণে হয়ে থাকে.         
             
  4. রাহুর অশুভ প্রভাব কম করার জন্য আতর দ্বারা শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হবে এবং
    মহামৃত্যুঞ্জয় স্তোত্র পাঠ করতে হবে. পরিধানের বস্ত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং সর্বসময় সুগন্ধি ব্যবহার
    করতে হবে.                   
  5. যারা দীর্ঘদিন ধরে কঠিন অসুখে ভুগছেন ,তাদের নিজের জীবন রক্ষার্থে ,শিবের অভিষেক করতে
    হবে. এবং চামেলি আতর মিশ্রিত করে ,বিধিসম্মতভাবে একাধিক পন্ডিত দ্বারা ,মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ এর দ্বারা
    তারা দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন. তবে ডাক্তারি চিকিৎসা একান্ত প্রয়োজন.                               
     6. যদি আইনি সমস্যায় জর্জরিত হন ,তবে কেশর মিশ্রিত গোলাপ আতর দ্বারা মঙ্গল এবং বৃহস্পতির
    পুজো করতে হবে.                               
  6. জন্ম কুণ্ডলীতে রাহু এবং চন্দ্রের সংযোগের কারণে যদি মানসিক অসুস্থতা হয়ে থাকে ,তবে এই
    মানসিক অসুস্থতা কাটানোর জন্য ,দুধের মধ্যে গোলাপ আদর মিশিয়ে রাতে চন্দ্রকে পূজা করতে হবে. এছাড়াও
    শিবের অভিষেক করলে মানসিক অস্থিরতা দূর হবে.     


 8. যদি জন্ম কুণ্ডলীতে অসভ্য মঙ্গলের কারণে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ সমস্যার তৈরি হয় ,তবে
চন্দনগুঁড়ো এবং গোলাপ আতর পদ্ম ফুলের ওপর দিয়ে ,ভগবান শিবকে 108 বার মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করে,
সেটা অর্পণ করতে হবে.                                         

  1. বুধবার দিন 108 টি এলাচ দিয়ে তাতে চম্পা আতর মিশিয়ে ,গণেশের সংকট স্তোত্র পাঠ করে
    ,ভগবান গণেশের চরণে অর্পণ করিলাম সকল বাধা দূরীভূত হয়.
    আতর বা সুগন্ধি প্রয়োগ শরীরের কোন কোন
    অংশে ব্যবহার করলে ,তা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং
    মনের ওপর কিরূপ প্রভাব ফেলে তা জানব-
    গন্ধ বা সুগন্ধি আমাদের মানসিক আবেগের সামঞ্জস্য আনতে সহায়তা করে. আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও
    শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত তথ্য গুলি অবচেতন মনে স্থান নেয়, তার ওপর মস্তিষ্কে প্রবেশ করে. এবং তার প্রভাব
    আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে. সুগন্ধি কখনো কখনো আমাদের জীবনে কর্মের ওপর এবং বুদ্ধিমত্তার ওপর
    বিশেষ প্রভাব ফেলে. সুগন্ধি কখনো কখনো আমাদের হতাশা দূর করতেও সক্ষম হয়
    আমাদের শরীরের পালস পয়েন্ট অর্থাৎ নাড়ি বিন্দুতে লাগালে দীর্ঘক্ষন তা বাতাসে বহন করে নিয়ে
    যায়. নাড়িবিন্দু এমন একটি জায়গা ,যেখানে আপনার শিরাগুলি ,আপনার ত্বকের সবচেয়ে কাছাকাছি বাস করে,
    যাতে আপনি আপনার নাড়ি অনুভব করতে পারেন.
    সুগন্ধি কোথায় লাগাবেন?
    এটি আপনার কব্জির ভেতর, ভিতরের কনুই, আপনার নাভিতে, কানের লতি গুলির পেছনে, এই সমস্ত
    জায়গা গুলি থেকে অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয় ,যা প্রাকৃতিক ভাবে গন্ধ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে. মনে রাখবেন
    কোন আতর বা সুগন্ধি শরীরে ঘষবেন না ,সুগন্ধ তাতে সারাদিন বজায় থাকবে.
    এরমধ্যে নাভি আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র. আধ্যাত্মবাদী রা সর্বদা নাভিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ
    কেন্দ্র বলে জোর দিয়েছেন. এ দর্শন বিভিন্ন সংস্কৃতির জুড়ে জোর দেওয়া হয়েছে. নাভির আধ্যাত্বিক গুরুত্ব এবং
    কিছু ধর্মীয় স্থান পেয়েছে. জাপানি সংস্কৃতিতে নাভির সর্বদা একটি বিশেষ স্থান রয়েছে ,তারা দীর্ঘদিন ধরে
    বিশ্বাস করে যে ,নাভি জীবনের শুরুর প্রতীক. বৌদ্ধধর্মে নাভি তৃতীয় চক্র বা মনিপুর কে বোঝায়. হিন্দু ধর্মে
    কুণ্ডলী শক্তি ,নাভিতে অবস্থিত, বলে বলা হয়. নাভি হলো অগ্নি’ স্থান ,এখানে সমান বায়ু ,প্রাণ বা প্রাণশক্তির ,যা
    হজম ,গঠন এবং পাচন ক্ষমতা দেয়.


যেকোনো কাজে বেরোবার আগে নাভিতে আতর এবং কেশর মিশ্রিত করে, বিন্দু লাগিয়ে যদি বের হন,
তাতে কাজে সফলতা পাবেন.
বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে সুগন্ধির মাহাত্ম্য-
মানব সমাজ আদিকাল থেকে নিজের চারপাশের বাতাবরণ কে সুগন্ধিত করে রাখে, যাতে শান্তিপূর্ণ
পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে.
এই সুগন্ধির ব্যাপারে প্রকৃতি আমাদের অত্যন্ত ঐশ্বর্য প্রদান করে. বিবিধ প্রকার ফুল-ফল উপহার
দিয়েছে, যা দিয়ে আমরা পরিবেশকে খুশির বাতাবরণে ভরিয়ে দিতে পারি, এবং মনকে সতেজ রাখতে পারি.
প্রাচীনকাল থেকে রাজা-মহারাজারা নিজের কক্ষ ফুল এবং আতর দিয়ে সুসজ্জিত করে রাখতেন
জাপানে প্রাত্যহিক জীবনে সুগন্ধি ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মতভাবে হয়ে থাকে. জাপানে প্রত্যেক উৎপাদন
প্রতিষ্ঠানে, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য এবং কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সুবাস মেশিনের দ্বারা, সুবাস
ছড়ানো হয়. সকালে লেবুর গন্ধ ছড়ানো হয়, সৃষ্টিশীলতা ও সজীবতা বাড়ানোর জন্য. এবং দুপুরে কর্মীদের
একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য জুঁই ফুলের সুবাস ছড়ানো হয়.
বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে বিভিন্ন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব দূর করার জন্য সুগন্ধির প্রভাব একান্ত জরুরী.
এবং পারিবারিক অশান্তি এবং দাম্পত্য কলহ নিবারণের জন্য ,সুগন্ধি আতর এর প্রয়োগ বিশেষভাবে কার্যকরী.
বিবাহিত দম্পতির মধ্যে খুশির মেজাজ গড়ে তোলার জন্য  মোগরা আতরের ব্যবহার কার্যকরী, এই
আতরের সুগন্ধি দম্পতির মধ্যে প্রেম ভাব বাড়িয়ে দেয়
বাস্তুতে অর্থাৎ গৃহে অসুস্থ ব্যক্তির মনকে সতেজ করে তোলার জন্য চন্দন আতরের প্রয়োগ এবং কর্পূর
জালানো একান্ত প্রয়োজন
প্রকৃত জ্ঞানী জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুসারে, বিভিন্ন সুগন্ধি দ্বারা ,বিভিন্ন পূজা বিধি সম্মত ভাবে হয়ে
থাকে. তবে বাস্তুদোষ নিবারণের জন্য বাস্তুশাস্ত্র বিদ জ্যোতির্ময়ী সুস্মিতা আপনাদের পাশে সবসময় আছেন,
প্রয়োজনে যোগাযোগ করবেন আমাদের এই নম্বরে-7044092560